ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কারন ও চিকিৎসা?
আমরা সচারচ অনেক রোগি এবং অত্মীয় স্বজন দের মুখের সেপ বা আকৃতি একটু ব্যতিক্রম দেখি!
তার ঠোটের এক অংশ নরমাল পজিশন এবং অন্য অংশ নীচু হয়ে গেছে ( চিত্রে দেওয়া হল)
মেডিকেল এর ভাষায় এর রোগের নাম ( Bell`s palsy) বলা হয়।
বেলস পালসি হল এমন একটি অবস্থা যা মুখের একপাশের পেশীতে হঠাৎ দুর্বলতা সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, দুর্বলতা অস্থায়ী এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়, কিছু ক্ষেত্রে আবার ভয়াবহ আকার ও ধারন করতে পারে । দুর্বলতার কারণে মুখের অর্ধেক অংশ নিচু হয়ে যায়। হাসি একতরফা হয়, এবং আক্রান্ত দিকের চোখের পর্দার পেশী ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়,
এই রোগ কে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ও বলা হয়।
ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কারন সমুহ ?
মূলত ভাইরাল ইনফেকশ দায়ি এই রোগের জন্য,
ভাইরাল ইনফেকশন ফেসিয়াল নার্ভ কে আক্রমন করে প্রদাহ তৈরী করে এর ফলে বেলস পালসি তৈরী হয়, উল্লেখ যোগ্য ভাইরাস সমূহ হলঃ
১) হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ( জেনিটাল হার্পিস)
২) চিকেন পক্স বা ভেরিসিলা জোষ্টার ভাইরাস,
৩) হার্পিস সিম্পপ্লেক্স ভাইরাস,
৪) ইপিস্টান বার ভাইরাস
৫) রুবেলা
৬) মামস ( আমাদের দেশে বেলস পালসি হওয়ার জন্য অন্যতম দায়ি ভাইরাস)
৭) ইনফ্লুয়েঞ্জা
ইত্যাদি,
ভাইরাস ছাড়া ও কিছু ফ্যাক্টর বেলস পালসি হওয়ার জন্য দায়ি তা হল?
- ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- স্থুলতা
ফেসিয়াল প্যারালাইসিস লক্ষন সমূহ?
১) মুখের একপাশ প্যারালাইসিস বোধ করা, এবং মুখের বেশীর নড়াচড়া কমে যাওয়া।
২) মুখ ঝুলে পড়া এবং মুখের অভিব্যক্তি তৈরি করতে অসুবিধা, যেমন আপনার চোখ বন্ধ করা বা হাসি।
৩) মুখ থেকে লালা পড়া।
৪) চোয়ালের চারপাশে বা কানের পিছনে বা আক্রান্ত পাশে ব্যথা।
৫) আক্রান্ত দিকে শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৬) মাথাব্যথা
৭) মুখের স্বাদ কমে যাওয়া।
ইনভেষ্টিগেশন?
১) Electromyography (EMG)
২) এম আর আই, অথবা সিটি স্ক্যান
৩) ভাইরাল স্কেনিং।
ফেসিয়াল প্যারালাইসিস চিকিৎসা?
বেলস পালসি এর চিকিৎসায় মেডিসিন এর পাশাপাশি এক্সারসাইজ অনেক হেল্পফুল, তবে পাশাপাশি অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট এর পরামর্শ দ্রুত আরোগ্য হতে সাহায্য করে।
হোমিওপ্যাথি সিমটমেটিক চিকিৎসা রোগি নিরাময়ে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
যেসকল হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ক্লিনিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা হল?
১) এগারিকাস
২) একোনাইট
৩) কষ্টিকাম
৪) প্লাটিমা
৫) ডালকামরা।
চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কল করুন: +8801568076933
লেখক-
ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন
Post a Comment