দাঁতের মাড়ি ভালো রাখার উপায়?

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম টা আমরা বুঝিনা। আমরা ঠিক তখনই দাঁতের মর্ম টা বুঝি যখন আর আমাদের করার কিছুই থাকে না। দাঁত হল আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই দাঁতের যত্নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা একটু অসচেতনতার কারণে হতে পারে অনেক রোগ। দাঁতের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে আমাদের দাঁতের মাড়ি। দাঁতকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখতে হবে। 




আজকে আমরা জানবো কিভাবে দাঁতের মাড়ি ভালো রাখা যায়।

দাঁতের মাড়ির রোগ সাধারণত দুই ধরনের:

  •               Gingivitis: মাড়ির প্রদাহ
  •               Periodontitis: এই রোগ হলে মাড়ির প্রদাহটা আরো গভীরে যায় অর্থাৎ মাড়ির পার্শ্ববর্তী হাড় পর্যন্ত পৌঁছায়।

আমাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য খাবার খেতে হয়। খাবার খাওয়ার সময় খাবারের কিছু অংশ আমাদের দাঁতের ফাঁকে এবং দাঁতের আশেপাশে থেকে যায়। আমরা যখন এই খাবারগুলো বা খাবারের অংশগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার না করি তখনই দেখা দেয় মাড়ির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। কেননা যখন দীর্ঘ সময় ধরে খাবারগুলো দাঁতের সাথে লেগে থাকে তখন সেটা আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় এবং এখান থেকে শুরু হয় মাড়ির রোগ যেমন: মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মাড়িতে জ্বালাপোড়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া। 

জিনজিভাইটিজ: (gingivitis) অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন ব্রাশ করি আমাদের মাড়ি থেকে রক্ত আসে অথবা আমরা যখন কোন শক্ত খাবার চিবাই তখন আমাদের মাড়ি থেকে রক্ত আসে। এর কারণ হলো খাবারের অংশগুলো জমে যখন পাথরে পরিণত হয় তখন মাড়িতে ইনফ্লামেশন হয় এবং যার ফলে এগুলো সমস্যা দেখা দেয়।


পিরিয়ডোনটাইটিস: (periodontitis) এই পর্যায়ে মাড়ির প্রদাহটা বেড়ে অনেক গভীরে চলে যায় অর্থাৎ মাড়ির পার্শ্ববর্তী হাড় পর্যন্ত পৌঁছায় এবং দাঁত মাড়ি থেকে আলগা হয়ে যায় যার ফলে দাঁত নড়া শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত পড়ে যায়।


এসব রোগ থেকে মুক্তির উপায়?

মুখের ভেতরের পরিবেশকে সুস্থ রাখতে বা ভালো রাখতে আমাদেরকে অবশ্যই তার ব্রাশ করতে হবে নিয়মিত। 

আমরা যখন আঁশ জাতীয় বা যেকোনো ধরনের খাবার খাই তখন খাবারের কিছু অংশ দাঁতের ফাঁকে জমা হয় যেগুলো ব্রাশ করলেও পরিষ্কার হয় না। এজন্য আমাদেরকে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। ডেন্টাল ফ্লস হলো এক ধরনের সুতা।

কুসুম গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে দিনে অন্তত একবার কুলকুচি করতে হবে বিশেষ করে রাতের বেলায় খাবার শেষে ব্রাশের পরে।

ছয় মাস পর পর অবশ্যই ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হয়ে চেকআপ করাতে হবে

চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কল করুন 01650198767

তথ্যসূত্র: এম,আই ডেন্টাল কেয়ার

ফেসবুক: Mi Dental Care



Post a Comment

Previous Post Next Post