ঘন ঘন প্রসাব ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত জানব। ঘনঘন প্রসাব এর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং ৪০ টি ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। এবং আপনি জানতে পারবেন এই সকল ঔষধের ব্যবহার সম্পর্কে কোন রোগীদের ক্ষেত্রে কতটুকু পরিমান ব্যবহার করতে হবে একটি কথা মনে রাখবেন এই সকল ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।
১। প্রবহমান পানি দেখলে বা পানির শব্দ শুনে প্রস্রাবের বেগ- ক্যান্থারিস, লাইসিন,সালফার।
২। অবিরত প্রস্রাবের ইচ্ছা। পেশির দুর্বলতার জন্য হাঁচি, কাশির সঙ্গে প্রস্রাব বের হয়ে পড়ে- ক্যালকেরিয়া ফস।
৩। মূত্রাশয়ের দুর্বলতার জন্য অজ্ঞাতসারে এবং হাঁচি কাশির সময় প্রস্রাব বের হয়ে পড়ে- জেলসিমিয়াম, জিঙ্কাম, পালসেটিলা, স্কুইলা ও ক্যালি কার্ব।
৪। মূত্রাশয়ের দুর্বলতার জন্য অজ্ঞাতসারে প্রস্রাব। বিশেষ করে বালক ও বৃদ্ধদের পক্ষে - কষ্টিকাম।
৫। বৃদ্ধদের মূত্র ধারনে অক্ষমতা। সর্বদা ফোঁটা ফোঁটা নির্গত হয়- ডামিয়ানা।
৬। যখন তখন প্রস্রাবের বেগ ও প্রচুর প্রস্রাব। রাত্রে অজ্ঞাতসারে নির্গমণ। প্রস্রাব হরিদ্রা বর্ণ, ঝাঁঝালো ও অম্ল গন্ধযুক্ত। প্রস্রাবের সময় জ্বালা- ন্যাট্রাম কার্ব।
৭। মূত্রাশয়ের অনুভুতি লোপ পায়, প্রস্রাব জমা হলেও টের পায় না- ওপিয়াম।
৮। স্ত্রী লোকদের প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা রাত্রে অসাড়ে মূত্রত্যাগ- ফাউসালিস নিম্ন শক্তি।
৯। প্রস্রাবের ইচ্ছা না থাকলেও পুন: পুন: বেগ হতে থাকে। দিনের বেলায় অসাড়ে প্রস্রাব। কাশতে গেলে প্রস্রাব ছিটকে বের হয় -ফেরাম ফস।
১০। গ্রীবা দেশে চুলকানি ও অসাড়ে প্রস্রাব , স্ত্রী লোকদের বেলায়- কোপাইবা।
১১। নিদ্রাবস্থায় অসাড়ে প্রস্রাব-সেনেগা।
১২। চিৎ হয়ে শুলে প্রস্রাবের বেগ, কাত হলে হয় না- পালসেটিলা।
১৩। অসাড়ে প্রস্রাব ও ভীষণ দুর্বলতা। কোমর বেদনা ও প্রবল পিপাসা। রাক্ষুসে ক্ষুধা বা ক্ষুধা হীনতা- রাস এরোমেটিক। মূল আরক বেশি মাত্রায়।
১৪। যেন সব সময় প্রস্রাব জমা হয়ে রয়েছে। বেগ ধারণ করতে পারে না। বেড়াবার সময় অসাড়ে নি:সরণ- রুটা।
১৫। বেদনা ও জ্বালা সহ অসাড়ে নি:সরণ। কোন কোন সময় প্রস্রাব রক্ত মিশ্রিত- আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম।
১৬। আঘাতের পর রক্ত প্রস্রাব। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় বা অসাড়ে হতে থাকে- আর্নিকা।
১৭। বাহ্য প্রস্রাবের পরে বা হাঁটার সময় প্রস্রাব পড়তে থাকে- সেলিনিয়াম।
১৮। প্রস্রাবের তীব্র বেগ বিলম্ব করতে পারে না- ল্যাথাইরাস।
১৯। প্রস্রাব প্রচুর ও পুন: পুন:। চলবার সময় এবং কাশির সময় প্রস্রাব নির্গমন। রোগী লবন বেশি খায়- ন্যাট্রাম মিউর।
২০। অসাড়ে প্রস্রাব। পুন: পুন: প্রস্রাব। বিশেষত রাত্রে- সালফার।
২১। বসে থাকা কালে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব- সার্সাপেরিল্লা।
২২। প্রস্রাব করার কথা মনে হলেই প্রস্রাব করতে হয় - এসিড অক্সালিক, অক্সোট্রপিস।
২৩। মূত্রাশয়ের দুর্বলতা। ধারন শক্তি থাকে না। বৃদ্ধ নারী পুরুষের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রযোজ্য- ইকুইসেটাম হাইমেল।
২৪। হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ হয়েই প্রস্রাব নির্গত হয়। তাই কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়- Kreosote.
২৫। বৃদ্ধদের প্রস্রাবে বসার আগেই প্রস্রাব ঝরে পড়ে- Turners ৩০/২০০.
২৬। মূত্র প্রায়ই লালচে হয়, বেগ ধারনে অক্ষম, জ্বালা যন্ত্রনাযুক্ত প্রস্রাব-Lycopodium.
২৭। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের বেগ ধারনে অক্ষমতায় বসার পূর্বেই প্রস্রাব ঝরে পড়ে- Equisetum.
২৮। বৃদ্ধদের বার বার প্রস্রাব ত্যাগের ইচ্ছা- Causticum.
২৯। প্রস্রাব পুরু,ঘোলাটে, শ্লেষ্মা যুক্ত, মূত্রশয় স্বল্প মূত্রও ধরে রাখতে পারে না, তাই নিরন্তন প্রস্রাব বেগ হয়- Anatherum Q.
৩০। প্রস্রাব করার পরও খানিকটা প্রস্রব বেগ ছাড়াই আপনা আপনি হয়- Silicea 30x.
৩১। রক্তহীন শিশু অজান্তে প্রস্রাব করে ফেলে Ferrum phos.
৩২। শিশু শয্যায় এবং দিনের বেলায়ও চলতে ফিরতে কাপড়ে প্রস্রাব করে ফেলে- Ferrum Mur.
৩৩। শিশু যতক্ষন খেলতে থাকে ততক্ষন ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়- Ferrum Met.
৩৪। মূত্র থলির পক্ষাঘাত দরুন প্রস্রাব ধারনে অক্ষমতা, তাই ঘন ঘন অধিক প্রস্রাব- Kali phos.
৩৫। অনিচ্ছায় মূত্র ত্যাগ করে ফেলে, পুন: পুন: অল্প অল্প মূত্র নির্গত হতে থাকে, মূত্রে সর ভাসে- Psorinum.
৩৬। অত্যন্ত কড়া গন্ধ যুক্ত হলুদ রঙের প্রস্রাব অনবরত হয়- Absinthium 6.
৩৭। মূত্র কৃচ্ছতা সহ অবিরত মূত্রবেগ- Cantharis.
৩৮। দিন রাত অসাড়ে প্রস্রাব, এতে জ্বালা এবং শেষ ফোঁটা থেকে গেল বোধ- Argent nit.
৩৯। বৃদ্ধ বয়সে অনবরত ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গমন- Gelsemium 30.
৪০। হাসতে, কাশতে, চলতে প্রস্রাব হয়ে যায়, প্রস্রাব করার বাসনা হলে বেগ সামলানো যায় না-Causticum, Natrum Mur, Anatherum Q.
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের নিয়ম: সাধারণত ১-২ ফোটা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে ৩ বেলা খাবার আগে সেব্য অথবা গ্লোবিউলস বা পিলে সিক্ত করে ৪ টি করে পিল ৩ বেলা খাবার আগে চুষে খেতে পরেন।
Post a Comment