চুল সিল্কি করার উপায় : ঘরোয়া সহজ ১০ পদ্ধতি

চুল সিল্কি করার উপায় জানতে চান? সুন্দর ঝলমলে চুলের প্রশংসা শুনতে কে না চায়। প্রত্যেক নারীরই আকাঙ্খা থাকে সুন্দর ঝলমলে শাইনি চুলের। ছেলেরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। প্রিয়জনের সামনে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে তারাও এখন স্টাইলিস চুল পেতে চায়।

চুল সিল্কি করার উপায়


চুল সোজা ও সিল্কি করতে অনেকে পার্লারে যান। তবে চুল সিল্কি করার ঘরোয়া সহজ উপায় রয়েছে যা নিয়মিত ব্যবহারে ঘরে বসে কম সময়ে নিজের চুল সিল্কি ও শাইনি করে তোলা সম্ভব।

অনেকে আবার চুল সিল্কি ও শাইনি করতে বাজার থেকে দামি দামি প্রোডাক্ট কিনে থাকেন। কিন্তু সবসময় নামিদামি প্রোডাক্টে যে চুল সুন্দর হবে এমনটি নয়, অনক সময় হীতে বিপরীতও হয়।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়া কিংবা চুলের রঙ নষ্ট হয়ে যেতে দেখা যায়। ফলে চুল পড়া বন্ধ করা কিংবা পুণরায় চুল ঘন করার উপায় হিসেবে আবারো নতুন কোনো কেমিক্যাল প্রোডাক্ট! এবং নতুন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া!

চুল সুন্দর ঝলমলে করতে দরকার চুলের সঠিক পরিচর্যা। সেটি যদি নিয়মিত করা যায় তাহলে অল্প সময়ে চুল প্রাণ ফিরে পাবে এবং চুল হয়ে উঠবে সিল্কি, শফট ও ঝলমলে।

সূচীপত্র
চুল সিল্কি করার ঘরোয়া উপায়
১। এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
২। হেয়ার সিরাম
৩। পাকা কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
৪। ডিম দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
৫। চাল ধোয়া পানি
৬। ডিম ও দুধের হেয়ার প্যাক
৭। উষ্ণ গরম তেলের ম্যাসেজ
৮। নারকেল দুধ ও লেবুর রসের হেয়ার প্যাক
৯। শ্যাম্পুর সাথে চিনির মিশ্রণ
১০। কলা ও পেঁপের হেয়ার মাস্ক
চুল সিল্কি করার উপায় বিষয়ে পরিশেষ

চুল সিল্কি করার ঘরোয়া উপায়
আমরা চুল সিল্কি করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানবো, যা নিয়মিত ব্যবহার করে আপনার চুল সিল্কি ও সোজা করে তুলতে পারবেন।

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চুল স্মুথ করার এমন ১০ টি উপায় সম্পর্কে।

১। এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়রুপচর্চায় অ্যালোভেরার জেলের ব্যবহার অতি কার্যকরী। পাশাপাশি চুলের যত্নেও এলোভেরা জেল এর ভূমিকা অনেক। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠে সিল্কি ও শাইনি। এলোভেরা জেল এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে অনেক বেশি সিল্কি হবে।

বাজারে অনেক ধরনের এলোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি চাইলে এলোভেরা জেল ঘরে তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উপকরণ:

এলোভেরা জেল
লেবুর রস
পদ্ধতি:

প্রথমে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
চুল ৮০% শুকিয়ে নিতে হবে।
এরপর অ্যালোভেরা জেল এর সাথে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ভালভাবে লাগিয়ে নিন।
এটি মাথার স্কাল্পে দেওয়ার দরকার নেই। এই জেলটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে। এটি চুলের লেন্থে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে।

২। হেয়ার সিরাম
কোঁকড়া চুল চুল সিল্কি ও সোজা করার উপায় হিসেবে হেয়ার সিরাম এর ব্যবহার অপরিহার্য। এই হেয়ার সিরামটি যদি ঘরে তৈরি করে নেওয়া যায় তাহলে তো ভালই হয়। আপনি খুব সহজেই কিছু ঘরোয়া উপাদান দিয়ে এই হেয়ার সিরামটি তৈরি করে নিতে পারবেন।

চা পাতি, অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিয়ে এই হেয়ার সিরামটি তৈরি করতে হয়। এটি চুলের পুষ্টি জুগিয়ে চুল করে তোলে ঝলমলে উজ্জ্বল ও আকর্ষনীয়।

উপকরণ:

পানি ৫০০ গ্রাম
চা পাতি ২ চামচ
অ্যালোভেরা জেল
ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ২ টি
পদ্ধতি:

আধা কাপ পানিতে ২ চামচ চা পাতি ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
চা পাতি ছেকে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
এরপর চায়ের লিকার এর মধ্যে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ২ টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিয়ে মিক্স করে দিন। তৈরি হয়ে যাবে ঘরে তৈরি পারফেক্ট হেয়ার সিরাম।
এই হেয়ার সিরামটি একটি স্পে বোতলে ঢেলে নিতে হবে। এটি ৪ থেকে ৫ দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারবেন।
চুলে শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে নিন।
এরপর চুলে ভালভাবে স্প্রে করে চুল আঁচড়িয়ে নিবেন।
Related:  চুল ঘন করার উপায় : সম্পূর্ণ ঘরোয়া ১০ পদ্ধতি
এই হেয়ার সিরাম ব্যবহারের পর চুল পরবর্তীতে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল সিল্কি এবং সাইনি হবে। ভিটামিন-ই ক্যাপসুল চুলের আগা ফাটা রোধ করবে।

৩। পাকা কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়
পাকা কলা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। পাকা কলা, মধু, টক দই, এই ৩ টি উপকরণ দিয়ে খুব সহজে এই প্যাকটি তৈরি করে নিতে পারবেন। এই তিন উপকরণের মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করলে চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।

৪। ডিম দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
ডিমের সাদা অংশ চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে ডিমের সাদা অংশ, মধু, পাতিলেবুর রস ও নারকেল তেল লাগবে।

এই প্যাকটি চুলে পুষ্টিগুণ বজায় রেখে চুল করে তোলে ঝলমলে সিল্কি। এই প্যাকটি চটজলদি ঘরেই তৈরি করে নিতে পারবেন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল হয়ে উঠবে সিল্কি।

উপকরণ:

ডিমের সাদা অংশ
লেবুর রস
মধু
নারকেল তেল
পদ্ধতি:

একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালোভাবে ফাটিয়ে নিতে হবে।
এর সাথে একটি পাতি লেবুর রস, ২ চামচ মধু ও ২ চামচ নারকেল তেল নিয়ে মিশিয়ে নিন।
এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন।
ডিমের মধ্যে কাঁচা গন্ধ থাকে যার কারণে চুলটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে গন্ধটা চলে যায়। এরপর কন্ডিশনার দিয়ে চুল পুনরায় ধুয়ে নেবেন। এটি চুলকে খুব দ্রুত সিল্কি করে। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।

৫। চাল ধোয়া পানি
চাল ধোয়া পানি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। চাল ধোয়া পানি ও ভাতের মাড় দুটোই রূপচর্চার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। তেমনি চুলের যত্নেও এর জুড়ি নেই।

চাল ধোয়া পানিতে অনেক পুষ্টি গুণ থাকে। যা নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে প্রাণচঞ্চল ও ঝলমলে। এটি চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করে। চাল ধোয়া পানির সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিলে চুল দ্রুত সিল্কি ও শাইনি হবে।

উপকরণ:

চাল ধোয়া পানি
অ্যালোভেরা জেল
পদ্ধতি:

অল্প পরিমাণ চাল নিয়ে সারারাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
দীর্ঘক্ষন চাল ভিজিয়ে রাখার কারণে চালের পুষ্টিগুণ অনেকাংশে পানির মধ্যে চলে আসে।
চাল ঝরিয়ে শুধু পানিটুকু নিয়ে নিতে হবে।
এই পানির সাথে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি চুলে শ্যাম্পু করার আধা ঘন্টা আগে পুরা চুলে লাগিয়ে রাখুন।
এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
Related:  সুস্থতায় মেথির উপকারিতা, রূপচর্চায় মেথির ফেসপ্যাক
এটি শ্যাম্পুর সাথে মিক্স করেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করলে আপনার চুল হবে সিল্কি উজ্জল এবং ঝলমলে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৬। ডিম ও দুধের হেয়ার প্যাক
ডিম দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
ডিম যেমন রুক্ষ চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুল করে তোলে ঝলমলে, তেমনি কাঁচা দুধও চুল সিল্কি করার উপায় হিসেবে ভালো কার্যকরী। হাতের কাছে থাকা মাত্র ৪ টি উপকরণ দিয়ে এই হেয়ার মাক্সটি তৈরি করে নিতে পারবেন।

ডিমে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, তার সাথে দুধ ও মধু মিশিয়ে নিলে এর পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়। যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

উপকরণ:

ডিম ১ টি
কাঁচা দুধ ৩ চামচ
অলিভ অয়েল ২ চামচ
মধু ২ চামচ
পদ্ধতি:

প্রথমে একটি বাটিতে কুসুমসহ একটি ডিম নিয়ে নিতে হবে।
এর সাথে একে একে তিন চামচ কাঁচা দুধ, অলিভ অয়েল দুই চামচ, মধু দুই চামচ, সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
তাহলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার পারফেক্ট হেয়ার মাস্ক।
যারা ডিম পছন্দ করেন না, তারা তিন থেকে চার চামচ টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিতে হবে।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এটি মাসে কমপক্ষে একবার ব্যবহার করতে পারেন। চুলের ইন্সটান গ্লো ও শাইনি করতে এই হেয়ার মাস্কটি অত্যন্ত কার্যকরী।

৭। উষ্ণ গরম তেলের ম্যাসেজ
রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায়
চুলের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে চুল সিল্কি ও ঝলমলে করতে তেলের কোন বিকল্প নেই। স্কাল্পে উষ্ণ গরম তেলের ম্যাসেজ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলে পুষ্টি যোগায়। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং লেন্থে তেলের ব্যবহার চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে।

সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তেল ব্যবহার করলে চুল হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল এবং চুলের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাবে।

উপকরণ:

নারকেল তেল
castor-oil
পদ্ধতি:

চুলের পরিমাণ অনুযায়ী ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল নিন।
এটি একটি পাত্রে হালকা উষ্ণ গরম করে নিতে হবে।
এরপর পুরো চুলে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে নিবেন।
৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
চুলে তেল লাগিয়ে যদি সারারাত রাখা যায় তাহলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কাস্টার্ড অয়েল চুলের জন্য অনেক উপকারী। ক্যাস্টর অয়েল চুল মজবুত করে এবং চুলের কন্ডিশনারের কাজ করে।

নারকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশালে এর গুনাগুন অনেকাংশে বেড়ে যায়। যার কারণে এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে ওঠে মসৃণ, ঝলমলে ও সিল্কি।

৮। নারকেল দুধ ও লেবুর রসের হেয়ার প্যাক
লেবুর রস চুল স্ট্রেট করতে সাহায্য করে। তেমনি নারকেল দুধ চুলের কন্ডিশনারের কাজ করে চুল সিল্কি করে তোলে।

এই দুটির মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভিটামিন সি‘র ঘাটতি পূরণ করবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। এই হেয়ার প্যাক টি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল।

উপকরণ:

নারকেল দুধ
লেবুর রস
পদ্ধতি:

একটি বাটিতে এক কাপ নারকেল দুধ ও দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি সারারাত ফ্রিজে নরমালে রেখে দিন।
পরের দিন শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে মিশ্রণটি চুলের স্কাল্পসহ লেন্থে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
Related:  চুল ঘন করার উপায়: সম্পূর্ণ ঘরোয়া ১০ পদ্ধতি
নারকেল দুধ ও লেবুর রসের এই প্যাকটি কোঁকড়া চুল স্টেট ও সিল্কি করতে সাহায্য করবে। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।

৯। শ্যাম্পুর সাথে চিনির মিশ্রণ
চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। রূপচর্চার ক্ষেত্রেও চিনির ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তেমনি শ্যাম্পু করার সময় যদি চিনি মিক্স করে নেওয়া যায়, তাহলে চুল অনেক বেশি ঝলমলে ও মসৃণ হয়। এর সাথে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিলে চুল দ্রুত সিল্কি হয় এবং স্ক্যাল্পে যদি খুশকি থাকে সেটাও দূর হয়।

উপকরণ:

চিনি
লেবুর রস
শাম্পু
পদ্ধতি:

চুলের পরিমান অনুযায়ী যে কোন ব্রান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
শাম্পু সাথে চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি পেস্ট এর মতই হবে।
মাথায় শ্যাম্পু করার সময় যেভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন ঠিক একইভাবে এই প্যাকটি মাথায় ব্যবহার করতে হবে।
শ্যাম্পু করার পর ভালো করে ধুয়ে নিন।
পদ্ধতিটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে। সেই সাথে চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে চুল ঝলমলে করে তোলে।

১০। কলা ও পেঁপের হেয়ার মাস্ক
কলা যেমন চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুল সিল্কি করে, তেমনি পাকা পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল স্ট্রেট করতে সাহায্য করে।

কলা ও পেঁপের পেস্ট চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে পরিপূর্ণ পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে।

উপকরণ:

পাকা কলা ১ টি
পাকা পেঁপে
পদ্ধতি:

প্রথমে একটি পাকা কলা ভালো করে চটকে নিন।
এর সাথে পাকা পেঁপের বড় একটি অংশ নিয়ে নিন।
এই দুটি উপকরণ একসাথে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
এই পেজটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালভাবে লাগিয়ে নিন।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর কিছুটা শুকিয়ে আসলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ঝলমলে সিল্কি ও স্ট্রেইট হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের গোড়া মজবুত হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।

চুল সিল্কি করার উপায় বিষয়ে পরিশেষ
মসৃণ, ঝলমলে ও সিল্কি চুল পেতে চাইলে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের চুল খুব অল্পতে আর্দ্রতা হারায় এবং রুক্ষ হয়ে যায়। রুক্ষ চুল খুব সহজে সিল্কি ও শাইনি করতে অবশ্যই নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে।

উপরে উল্লেখ করা যে কোন পদ্ধতিতে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে পারেন। অল্প সময়ে কোন কিছুতে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। রূপচর্চা, শরীরচর্চা বা চুলের পরিচর্যা যেটাই হোক সেটা নিয়মিত করে যেতে হবে। তাহলেই ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

চুল সিল্কি করার উপায় হিসেবে উল্লেখ করা এই হেয়ার প্যাকগুলো সম্পূর্ণ ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক। এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের কোন ক্ষতি করবে না বরং চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুল হয়ে উঠবে মসৃণ, সিল্কি ও শাইনি। যা আপনার মনকে আরো বেশি ফুরফুরে করে তুলবে এবং ভেতর থেকে আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

চুল স্মুথ ও সিল্কি হলে যেকোন স্টাইলে চুলকে সাজানো যায়। অন্যথায় রূক্ষ চুলে সেটা সম্ভব হয় না। তাই চুলের জন্য চাই সঠিক নিয়মে সঠিক পরিচর্যা ।

চুল সিল্কি করার ১০টি উপায়ের মাঝে আপনি কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন? কমেন্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না যেন।

সূত্র প্রথম আলো

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post