চুলের বৃদ্ধি গতি বাড়াতে মেনে চলতে পারেন সহজ কয়েকটি পন্থা।

গাছের বৃদ্ধিতে যেমন দিতে হয় সার, করতে হয় পরিচর্যা। তেমনি চুলের বৃদ্ধিতেও চাই নিয়মিত যত্ন।


চুল বড় করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় ?


নিয়মিত জীবনযাপনের ফাঁকে সাধারণ উপায়ে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করা যায়।


আর এই বিষয়ে ভারতীয় অ্যারোমাথেরাপিস্ট ও রূপবিশেষজ্ঞ ডা. ব্লসম কোচারের ওয়েবসাইটে দেওয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে। যেগুলো কার্যকর আবার অত জটিল কিছু নয়।


ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ীর তেল


চুল বড় করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় ?


ক্যাস্টর তেল ‘রাইসিনোলিক’ অ্যাসিড এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা মাথার ত্বকে মালিশ করা হলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।


ভালো ফলাফলের জন্য এক চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ কাঠ-বাদাম ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। তারপর ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।


খাবারের প্রতি মনোযোগ দিন


কী খাওয়া হচ্ছে সেদিকে মনযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক খাবারে ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা আবশ্যক। ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা দৈনিক খাবার তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা থাকলে চুল পড়া, পাতলা ও চিকন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


তাই, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডাল-জাতীয় খাবার, ডিম ও মাংস খাওয়া প্রয়োজন।


চুল বড় করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় ?


লম্বা চুলের জন্য পেঁয়াজের রস


পেঁয়াজ সালফেট সমৃদ্ধ যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেঁয়াজের কড়া গন্ধের দিকে মনোযোগ না দিয়ে বরং এর গুণাগুণে দিকে মনোযোগ দিন।


গন্ধের অস্বস্তি মেনে নিয়ে যদি উপকার পাওয়া যায়, তবে মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস মাখাই যায়।


মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার


মুখের ত্বকের মতো মাথার ত্বকও নিয়মিত স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এতে মৃত কোষ দূর হয় ও চুলের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় থাকে। 


চুলের বৃদ্ধিতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার কার্যকর। চাইলে পান করতে পারেন। এটা ত্বক ও চুল দুয়ের জন্যই উপকারী।


এছাড়া এই ভিনিগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার চুল পড়া বাড়াতে পারে। তাই ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।


মাথা মালিশ করা


চুলের বৃদ্ধিতে মাথার ত্বক মালিশ করা চমৎকার কাজ করে। চাইলে তেল দিয়ে অথবা তেল ছাড়াই মাথা মালিশ করতে পারেন।


মাথার মাঝাখান থেকে শুরু করে চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মালিশ করতে হবে।


মাথার মাঝখানের অংশে গোলাকারভাবে ২৫ বার মালিশ করুন। এরপর তিন আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ২৫ বার মালিশ করুন।


এমনিভাবে কানের পাশের হাড় পর্যন্ত করতে হবে। যেকোনো সময় পাঁচ থেকে সাত মিনিট এভাবে মালিশ করলে উপকার মিলবে।


এটা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, চুল স্বাস্থ্যকর ও লম্বা করতে সহায়তা করে।


এছাড়া চুল ভালো রাখতে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাই ভালো থাকতে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা ও সুস্থ সুন্দর জীবন কাটানোর চেষ্টা করে যেতে হবে।

2 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post