ব্রণের কিছু কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ওষুধ। ওষুধ গুলো ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

ব্রণের কিছু কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ওষুধ

১)Calceria Picreta

১৩-২০ বছরের ছেলে মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার একটি কমন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হল ক্যালকেরিয়া পিক্রেটা         (Calceria Picreta) 3x বা 30 । 


২) Kali Brom

কেলি ব্রম (Kali Brom): যাদের মুখে, বুকে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ব্রণ হয় কেলি ব্রম (Kali Brom) 3x, 30 খুব ভালো কাজ করে। ব্রণ থেকে যদি ভাতের মতো পদার্থ বের হয় তাহলে কেলি ব্রম (Kali Brom) কার্যকরী। এছাড়াও মুখে, বুকে, কাধে এবং ঘাড়ের ব্রণ দূর ক্ষেত্রে কেলি ব্রম (Kali Brom) ৩০ শক্তি সর্বোৎকৃষ্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ । ”খুব কম ব্রণই আছে যা কেলি ব্রম (Kali Brom) নিরাময় হয় না।” সাধারণ মুখের ব্রণ ও চর্মস্ফীতিযুক্ত বয়ঃব্রণের ক্ষেত্রে  (Kali Brom) একটি উত্তম ঔষধ। কেলি ব্রম অতিরিক্ত কামচর্চা ও হস্তমৈথুনকারী ব্যাক্তিদের বয়ঃব্রণ দূর করার চিকিৎসায় কার্যকরি একটি শ্রেষ্ঠ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।

৩) Pulsatilla
পালসেটিলা (Pulsatilla) যদি ব্রণ রিচ ফুড/সমৃদ্ধ খাবার (সমৃদ্ধ খাদ্য যা ক্যালরিতে ভরা হওয়ার কারণে অল্পেই পেট ভরে যায়) বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর থেকে খারাপ হয় এবং গরমে বা উত্তাপে বৃদ্ধি হয় তখন পালসেটিলা (Pulsatilla)। এটি বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে বা ‍ঋতুস্রাবের কাছাকাছি সময়ে ব্রণ ফেটে যায়, রোগীর গরম পছন্দ নয় এবং তাজা বাতাসে পছন্দ ।



৪)  Calcarea Sulph
মুখে পুঁজযুক্ত বা রক্তের ছিটযুক্ত ফুস্কুড়ি জন্মাতে থাকলে ক্যালকেরিয়া সালফ (Calcarea Sulphurica) ১২X ভাল কাজ করে।

৫) Calcarea Phos
ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea Phos): মেয়েদের মুখের ব্রণে কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।

৬) Sulphur Iod
সালফার আয়োড (Sulphur Iod) তরুন-তরুনীদের মুখে ব্রণ, ব্রণে পুঁজ সহ প্রচন্ড ব্যথা হলে সালফার আয়োড (Sulphur Iod) 30 বা ২০০.

৭) Bovista
কসমেটিক বা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে ব্রণ হয় হলে বোভিষ্টা (Bovista) 30 দিন ২ বার করে সেব্য।



৮) Thuja occi
থুজা অক্সিডেন্টালিস (Thuja occi) ২০০: মুখের ব্রণের জন্য থুজা একটি ভাল হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। ব্রণের ভেতর থেকে যদি চালের মত বের হয় তাহলে Thuja ২০০ প্রয়োগে আরোগ্য লাভ করতে পারে।

৯)  Sulphur
সালফার (Sulphur) ২০০ – পুরাতন ব্রণের রোগীদের জন্য উপযোগী। অত্যন্ত ফাটা ব্রণের জন্য জন্য একটি খুব দরকারী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ।

১০) Calcarea Carb
ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb) ২০০ – শীতকাতর ও অতি মাত্রায় ঘামে এমন রমনীদের যৌন সম্ভোগপ্রবৃত্তি দমন করে রাখার কারণে বয়ঃব্রণ হলে ক্যালকেরিয়া কার্ব ২০০ ভাল কাজ করে।আর একটি বিশেষ দিক দেখা দরকার রুগী ডিম খেতে খুব পছন্দ করে এবং মাথা ঘামায়।

১১) Acid Phos
এসিড ফস (Acid Phosphoricum):  হস্তমৈথুন বা অতিরিক্ত শুক্রানক্ষয়জনিত কারনে মুখে ব্রণ উঠিলে এসিড ফস (Acid Phosphoricum) অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ। ৩০ শক্তি।

১২)  Antim Crud
এন্টিম ক্রুড (Antim Crud) ৩০ – মুখমন্ডলের উপরেই বিশেষভাবে প্রকাশ পাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, লাল বর্নের বয়ঃব্রণগুল, হজম জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি, যাদের জিহ্বায় ঠিক দুধের মত সাদা লেপ থাকে তাদের মুখের ব্রণ চিকিৎসায় এন্টিম ক্রুড ৩০ অধিক কার্যকারিতার সাথে ব্যবহার হয়।

১৩)  Aurum Mur Nat
অরাম মিউর নেট্রোনেটাম (Aurum Muriaticum Natronatum) ৩X – বাত-ব্যথা ও জরায়ুপীড়াগ্রস্থ মহিলাদের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।

১৪)  Arsenicum Brom
আর্সেনিক ব্রোমেটাম (Arsenicum Bromatum) ৪X ব্রণের অপর একটি অত্যুৎকৃষ্ট হোমিও ঔষধ।

১৫)   Psorinum
সোরিনাম (Psorinum): সব ধরনের সাধারণ ব্রন, গোলাপী রঙের ব্রন ঋতুকালে বাড়ে, কফি, চর্বিযুক্ত, চিনিযুক্ত খাদ্যে, মাংস খেলে বেড়ে যায় যখন অন্য কোন সুনির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগে আরোগ্য না হয় বা শুধু সামান্য কমে তখন সোরিনাম (Psorinum) প্রয়োগ করলে সেরে যায়।

১৬)  Berberis aquifollium
বার্বেরিস একুই( Berberis Aqu) এর বাহ্যিক ব্যবহারের ফলে মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর হয়ে যায়। এক ভাগ মাদার টিংচার নয়ভাগ অলিভ অয়েলের সাথে মিশে প্রয়োগ করে অনেকের উপকার হয়েছে।

১৭)   Natrum Mur
নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) ২০০– শুষ্ক চেহারা, কাঁচা লবণ খেতে ভালবাসে এবং স্ননে রোগের উপশম এরুপ ব্যক্তির ব্রণে নেট্রাম মিউর ২০০ উপকারী। 

ব্রণের কিছু কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ওষুধ। এছাড়া আরও হোমিওপ্যাথিক আছে। 

ব্রণের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা 

কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত জলে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। "  

বিশেষ কথা জেনে রাখা ভালো।  
শরীর কে রোগ মুক্ত করতে প্রতিদিন আহারে ৫০% খাবার ফল এবং স্যালাট খান অথাৎ কাঁচা পাকা ফল কাঁচা সব্জি খান এতে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম পরিমাণের সমতা বজায় রাখে। পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ১ঃ১ থাকলে কোন রোগ আক্রান্তের হওয়ার  সম্ভাবনা কম থাকে । হলেও autophagy মাধ্যমে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।

 

2 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post