আমাদের দেশে যে পশুটি সবচেয়ে বেশি কোরবানি দেয়া হয় তা হলো গরু। অনেকেই গরুর মাংস দেখলে আঁতকে ওঠেন। তাদের ধারণা, গরুর মাংস খেলেই ভুগতে হবে। 


গরুর মাংসে যত উপকার?


আসলে তা কিন্তু নয়। বরং গরুর মাংস খেলে এমনকিছু উপকার পাওয়া যায়, যা সত্যিই চমকে ওঠার মতো। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক হবে না। গরুর মাংস কিভাবে রান্না করা হচ্ছে এবং কি পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার ভিত্তিতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। এখানে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সীমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়ার কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা পুষ্টির আলোকে উল্লেখ করা হলো।


* এল-কারনিটিন: এল-কারনিটিন হলো একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড যা মাংস জাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। এল-কারনিটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো চর্বি বিপাকে সহায়তা করা। আমাদের শরীর সাধারণ কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এল-কারনিটিন তৈরি করতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের মাধ্যমে এল-কারনিটিন গ্রহণ বাড়ালে কিছু উপকার পাওয়া যেতে পারে। এল-কারনিটিন হৃদরোগীর অবস্থা ভালো করতে পারে। এটি উচ্চ রক্তচাপ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, নাইট্রিক অক্সাইড ও প্রদাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে হৃদরোগের উন্নতি করে। আরেকটি সিস্টেমেটিক রিভিউ বলছে, এল-কারনিটিন হার্ট ফেইলিউরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের মাধ্যমে গৃহীত এল-কারনিটিন টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ফাস্টিং গ্লুকোজ লেভেল ও কোলেস্টেরল প্রফাইল উন্নত করেছে। 


* গ্লুটাথিওন: গ্লুটাথিওন হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেটাকে মাস্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয়। বিভিন্ন গবেষণার সারাংশ হলো- খাবার থেকে গৃহীত গ্লুটাথিওন বয়স্কতার নিদর্শন কমায়, আয়ু বাড়ায়, রোগপ্রতিরোধ করে, ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায় ও রোগদমন তন্ত্রকে শক্তিশালী করে। গ্লুটাথিওন ঘাটতি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post