আইবিএস কেন হয় ? ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কি ? আইবিএস থেকে মুক্তির উপায়
ইরিটেবল বাওয়াল সিনড্রোম সংক্ষেপে বলা হয় আইবিএস এটি একটি পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রমের একটি সমস্যা।
IBS আইবিএস কেন হয় ? ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কি ? আইবিএস থেকে মুক্তির উপায় |
আইবিএস কি (IBS) ? ইরিটেবল বাওয়াল সিনড্রোম কাকে বলে ?
আইবিএস এটা অন্তের কার্যকারিতার একটি সমস্যা । এই রোগে মলত্যাগের সময় পেটে ব্যথা হয় মলত্যাগের সাধারণ অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ পাতলা পায়খানার ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সাধারণত পেটে ব্যথা হয় পেট ফুলে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবে মলত্যাগ হয় না। কিন্তু অন্ত্রের কোন প্যাথলজিক্যাল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না ।
আইবিএস কত প্রকার ?
আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়াল সিনড্রোম সাধারণত দুই প্রকার। (IBS)
১. পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার প্রধান আইবিএস
২. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধান আইবিএস
কাদের বেশি আইবিএস (IBS) বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম হয় ?
সাধারণত যুবতী মহিলাদের বয়স 20 থেকে 40 এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । তাদের মধ্যে এই অসুখের সাথে বদহজম অবসন্নতা মাসিকের সময় প্রদাহ এবং ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ ইত্যাদি লক্ষণ গুলো পরিলক্ষিত হয়ে থাকে ।
আইবিএস (IBS) হওয়ার প্রধান কারণ গুলো কি কি?
১ মানসিক ও সামাজিক সমস্যা - অতিরিক্ত মানসিক অত্যাচার ও মানসিক রোগ মানুষের পৌষ্টিক নালীর স্বাভাবিক গতিতে পরিবর্তন করে এই সমস্ত মানসিক ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা অবসন্নতা আতঙ্কিত হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য
২ পৌষ্টিক নালীর স্বাভাবিক গতি কে পরিবর্তন -পৌষ্টিক নালীর এই স্বাভাবিক গতির পরিবর্তনের জন্য সাধারণত আইবিএস রোগীর রোগীরা হয় পাতলা পায়খানা অথবা ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসেন
৩ পৌষ্টিক নালীর অস্বাভাবিক সংবেদনশীলতা
৪ পৌষ্টিক নালীর অভ্যন্তরীণ সমস্যা- শতকরা 10 থেকে 20 ভাগ রোগীর আইবিএস রোগটি হয় সাধারণত পৌষ্টিক নালীর একটা প্রদাহ হওয়ার পরবর্তী সময়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই রোগটির জন্য তার দৈনন্দিন জীবনের কতগুলো খাবার প্রধানত দায়ী । সাধারণতঃ যেমন দুধ দুধের তৈরি খাবার মিষ্টি ও মিষ্টি শর্করার সালাত ও গমের তৈরি বিভিন্ন প্রকার খাবার ইত্যাদি
আইবিএস রোগীদের জন্য পরামর্শ !
রোগীকে মানসিকভাবে আস্বস্ত করতে হবে যদি উপসর্গ তারপর বৃদ্ধ বান থাকে এবং রোগীর যদি ডায়রিয়া প্রধান আইবিএস হয়ে থাকে তাহলে বীজ ও শস্য দানাদার যুক্ত খাবার নিষেধ করতে হবে যদি এরপরও উপসর্গ বিদ্যমান থাকে তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রদান আইপিএস সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই রোগীকে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন শষ্যদানার শাকসবজি বেশি বেশি করে খাবে প্রয়োজনে এসব গুলের ভুষি পান করতে ।
এই ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে তারা এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে
Post a Comment